কম্পিউটার রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত [পর্ব:৫]:: ক্ষতিকারক বিভিন্ন কারণসমূহ থেকে কিভাবে আপনার কম্পিউটারকে রক্ষা করবেন

স্বাভাবিক রক্ষণাবেক্ষণ:

ধুলিকণা পরিষ্কারকরণ:প্রতিদিনই আমাদের কম্পিউটারের টেবিলর উপর নানা প্রকার ধুলিকণা জমা হয়তাই প্রতিদিন কাজের শুরুতে হালকা একটা কাপড় দিয়ে ময়লা পরিষ্কার করতে হবেকম্পিউটারের সিস্টেম ইউনিটের ভিতরও অনেক ধুলিকণা জমে থাকেমাসে অত্যন্ত একবার তা পরিষ্কার করতে হবেতবে খেয়াল রাখতে হবে যেন চিপ বা মাদারবোর্ডের গায়ে হাত না লাগেপরিষ্কার করার জন্য অবশ্যই চৌম্বকীয় পদার্থ বিহীন ব্রাশ বা ক্লিনার ব্যবহার করতে হবে



সংযোগ পুনঃস্থাপন: প্রতিমাসে অত্যন্ত একবার কম্পিউটারের বিভিন্ন সংযোগগুলা পরীক্ষা করে দেখতে হবে সবকিছু ঠিক আছে কিনা



বায়ু নিয়ন্ত্রণ: কম্পিউটার কক্ষে অবশ্যই বায়ু নিয়ন্ত্রণ এর মধ্যে রাখতে হবেঅনাকাংঙ্খিত তাপমাত্রা,আদ্রতা যেন কম্পিউটারের ক্ষতি করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে



বৈদ্যুতিক ভোল্টেজ নিয়ন্ত্রন: বৈদ্যুতিক ভোল্টজ এর আপ-ডাউন এর জন্য কম্পিউটার এর মারাত্নক ক্ষতি হতে পারেএজন্য অবশ্যই ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার ব্যবহার করতে হবে



ড্রাইভের হেড পরিষ্কার করা: এই জিনিসটাকেই মনে হয় আমরা সবচেয়ে অবহেলার মধ্যে রাখিকিন্তু এমনটা করা যাবে নাকিছুদিন পরপর এই জিনিসটিও পরিষ্কার করতে হবেতা না হলে ড্রাইভে নানা রকমের ত্রুটি দেখা যায় এবং ডিস্ক থেকে তথ্য পড়ার ক্ষেত্রে ত্রুটির সম্ভাবনা বাড়ায়



ডিস্কের ত্রুটি নির্ণয়করণ: ব্যবহারজনিত বা যান্ত্রিক কারণে  অনেক সময় ডিস্কে বিভিন্ন বিভিন্ন রকমের ত্রুটি দেখা দেয় যেমন: disk error, read error, file allocation error, cluster chain, bad sector ইত্যাদিএরূপ ত্রুটির বেশির ভাগই বিভিন্ন ইউটিলিটি সফ্টওয়্যার দ্বারা চিহ্নিত করা পুনরুদ্ধার করা সম্ভবএ জাতীয় সফ্টওয়্যারকে ডায়াগনষ্টিক সফ্টওয়্যার বলেএসকল সমস্যা নিরসণের জন্য বিভিন্ন রকম ইউটিলিটি সফ্টওয়্যার রয়েছেযেমন:নরটন ডিস্ক, মেকএ্যাপি, পিসি টুলস ইত্যাদি



কভার ব্যবহার: এটার ক্ষেত্রে কোন ছাড় নাইঅবশ্যই নিরাপত্তার চাদরে(কভারে) আপনার কম্পিউটারটিকে ডেকে রাখতে হবে



স্প্রে জাতীয় কিছু ব্যবহার না করা:কম্পিউটার কক্ষে এরোসল বা হেয়ার স্প্রে জাতীয় কিছু ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবেকেননা এসব স্প্রে-তে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থ কম্পিউটারের সার্কিটের ক্ষতি করতে পারে

চুম্বক ক্ষেত্র থেকে দূরে রাখা: চুম্বক ক্ষেত্র থেকে আপনার কম্পিউটারকে দূরে রাখতে হবেতা না হলে মারাত্বক ক্ষতি হতে পারে


ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন বা ইএমআর(EMR):
ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশনের ফলে অবাঞ্ছিত দূষণ বা বিকরিত রশ্নি কম্পিউটারের এবং সংশ্লিষ্ট যন্ত্রের ক্ষতিসাধন করে ইএমআর দুই ধরনের
)নিম্ন কম্পাঙ্কের ইএমআর ও ২)উচ্চ কম্পাঙ্কের ইএমআর



এর থেকে মুক্তি পেতে হলে আপনার টেলিভিশন থেকে কম পক্ষে ৭ ফিট দূরে কম্পিউটার থাকতে হবে



প্রতিরক্ষামূলক রক্ষণাবেক্ষণ:


প্রোগ্রাম তথ্য নিরাপদ সংরক্ষণ: ব্যাকআপ হচ্ছে তথ্য বা প্রোগ্রামকে একটি বিশেষ ব্যবস্থায় সিডি বা অন্য ড্রাইভে সংরক্ষণ করে রাখাএ কাজটি করা অত্যন্ত ভাল



ক্ষতিকারক প্রোগ্রাম থেকে রক্ষাকরণ: ক্ষতিকারক প্রোগ্রাম বলতে ভাইরাস এর উপর বেশি জোড় দেওয়া হচ্ছেএটির ব্যাপারে খুব সচেতন থাকতে হবে



বিদ্যুৎতের সঠিক প্রবাহ নিশ্চিতকরণ: পূর্বে অনেকবারই বলা হয়েছে যে,বিদ্যুৎতের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা না গেলে কম্পিউটার এর মারাত্বক ক্ষতি হতে পারেআজকাল সঠিক মাত্রায় বিদ্যুৎ প্রবাহ নিশ্চিতকরণের জন্য বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি পাওয়া যায় যেমন: ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার, ইউপিএস, আইসোলেটর, রেগুলেটর, ফিল্টার, সার্জপ্রটেক্টর, আইপিএস ইত্যাদি



পরবর্তীতে উপরের বিষয়বস্তুসমূহ নিয়ে বিস্তারিত আরও আলোচনা করবইনশাআল্লাহ





আজ এ পর্যন্তআল্লাহ হাফেজকথা হবে আগামি পর্বে
   



No comments:

Post a Comment